ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশের দিন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়াল ২০৫ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নূরুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ধিত এই দাম জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের মিলগেট, পরিবেশক ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে। এর আগে গত ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে বাড়ে ৩৮ টাকা। নতুন দাম হয় ১৯৮ টাকা।
এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি। এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।
সেদিন পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নতুন দর অনুযায়ী এখন থেকে খোলা সয়াবিন তেল এক লিটার মিলগেটে ১৮০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৮২ টাকা ও খুচরায় ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের নতুন দর মিলগেটে ১৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৯৯ টাকা ও খুচরায় ২০৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলগেটে ৯৫২ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৭২ টাকা ও খুচরায় ৯৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক লিটার পাম তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মিলগেটে ১৫৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৫৫ টাকা ও খুচরায় ১৫৮ টাকা। নির্ধারিত মূল্যের বেশি দরে বিক্রি হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।