খেলাপি ঋণকে করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব নীতি সংস্কারের মাধ্যমে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে এই প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।
এই সংস্কারের আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে খেলাপি ঋণ মওকুফ করা হলে ব্যক্তি করদাতা ছাড়া অন্যান্য করদাতাদের ক্ষেত্রে তা করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব দেন তিনি।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব নীতি সংস্কারের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বেসরকারি খাতের করহার যৌক্তিকীকরণ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে উন্নতি সুসংহত করবে বলে আশা করা যায়।
বর্তমানে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক খেলাপি ঋণ মওকুফ করা হলে তা সব করদাতার জন্য করমুক্ত রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি সিকিউরিটিজ থেকে অর্জিত মূলধনি আয় করমুক্ত রয়েছে। এ আয়কে অন্যান্য সিকিউরিটিজের মতো করযোগ্য করার প্রস্তাব করছি। বেসরকারি খাতের করহার যৌক্তিকীকরণ নীতির আওতায় বেভারেজ কনসেনট্রেট থেকে আমদানি পর্যায়ে সংগৃহীত কর, সার্ভিস রপ্তানি থেকে সংগৃহীত কর, অভ্যন্তরীণ নৌযান পরিচালনা এবং বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত যানবাহন থেকে সংগৃহীত কর ন্যূনতম কর হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে এ বাজেটে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এবারের বাজেটে আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের নাম দিয়েছেন ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’।