ডেস্ক রিপোর্ট:
সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সড়ক বাধা হয়ে থাকলে তা কেটে পানি চলাচল নির্বিঘ্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এছাড়া, সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পানি ঢুকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় সিটি করপোরেশনকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ মন্ত্রী।
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত সরকারি বাসভবনে সিলেট অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এবং সিলেট সিটি করপোরেশনকে যে সকল রাস্তার কারণে পানি নেমে যেতে পারছে না সেসব রাস্তা তাৎক্ষণিকভাবে কাটার ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও সিটি করপোরশনের কর্মকর্তারা এব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এই বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে আলাদা কন্ট্রোলরুম খুলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্যার কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ ওই অঞ্চলে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা। আটকে পড়া মানুষদের নিকট শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা।
এ লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী নৌবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সকল স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে বন্যা কবলিত লোকজনদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করছে। এছাড়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের আগাম প্রস্তুতি ছিল বলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। বন্যায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজসহ অন্যান্য যে ক্ষয়-ক্ষতি হবে তার জন্য সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করবে।
যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ কর্মীদের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ফলে সরকার জানতে পারে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।