ডেস্ক রিপোর্ট:
উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের কিছু কিছু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটতে পারে। বিশেষ করে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, আত্রাই, ধরলা, দুধকুমার, করতোয়া, পুনর্ভবাসহ বেশ কিছু নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে এর আশেপাশের এলাকার বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটতে পারে।
আজ সোমবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, গত কয়েকদিন বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও আগামীকাল থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এদিকে আজ দেশের ৫ জেলার ৬ নদীর ৭ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে আছে। গতকালও একই অবস্থায় ছিল। তবে আগামী ২৩ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সেই হিসাবে দেশের কিছু কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তিস্তা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ (জলপাইগুড়ি, সিকিম) ও বিহার প্রদেশের স্থানগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে ওই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান (তিস্তা, আপার আত্রাই, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা ও কুলিখ) নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সময়ে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে অথবা কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
কেন্দ্র জানায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি ৭৫ থেকে কমে ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি ১৬৯ থেকে কমে ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে, শেওলা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৬০ থেকে কমে ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
এদিকে বাউলাই নদীর খালিয়াজুড়ি পয়েন্টের পানি ১৭ থেকে কমে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পুরাতন সুরমার দিরাই পয়েন্টের পানি ৩০ থেকে ১৭, সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টের পানি ৩৯ থেকে কমে ৩২ এবং তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ২৫ থেকে কমে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের ছাতকে ৫০ মিলিমিটার এবং সুনামগঞ্জের মহেশখোলায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে ভারতের জলপাইগুড়িতে ১৮৬ এবং অরুণাচলে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।