শামীম আহমেদ ॥ ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন এমনকি চালকেরও নেই কোনো মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স। আবার যে যানটি এ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা আসলে কোনো এ্যাম্বুলেন্স নয়। এ্যাম্বুলেন্সের কোনো সুবিধাও নেই। লক্কর ঝক্কর মাইক্রোবাসে কোনোমতে একটি ট্রলি সিট বসিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স হিসেবে।
এমন পরিস্থিতিতে রবিবার দুপুরে শেবাচিম হাসপাতাল চত্বরে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১২টি এ্যাম্বুলেন্সে অভিযান চালিয়ে চারটির কোনো বৈধ কাগজপত্র পায়নি তারা। এ কারণে ওই চারটি কথিত এ্যাম্বুলেন্স মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান টের পেয়ে অনেক চালক এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পালিয়ে গেছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন, অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমাপ্তী রায়। বিআরটিএ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিযানে সহায়তা করেন।
একইদিন দুপুরে মূল্য তালিক প্রদর্শন না করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হলুদ-মরিচ ভাঙ্গানো এবং এমআরপি না থাকার অপরাধে আট দোকানীকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার। নগরীর পোর্ট রোডের এ অভিযানে ১৭ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভোক্তা অধিকারের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র ও জেলা সহকারী পরিচালক শাহ সোয়াইব মিয়া অভিযান পরিচালনা করেন।