হেলথ ডেস্ক :
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩০০ জনে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৭৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৬ হাজার ৬৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩ আগস্ট) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয় এবং শনাক্ত হয় ৩৭৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে ৫ হাজার ৪০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৪০৪টি নমুনা।
এতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এদিকে সবশেষ একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৭৪১ জন। এনিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের হুয়ানান সি-ফুড ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। ওই বাজার ছিল মহামারির কেন্দ্র। একাধিক গবেষণায় এর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত দুটি গবেষণায় উহান শহরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তথ্য-উপাত্তগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৬ জুলাই ওই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের শুরুর দিকের সংক্রমণের ঘটনাগুলো হুয়ানান বাজারের আশপাশেই হয়েছিল। অপর গবেষণাটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সঠিক সময় জানতে করোনার জেনেটিক তথ্য ব্যবহার করা হয়।
এর মানে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম সংক্রমণের খবর এলেও ওই বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের দুটি ধরন বিদ্যমান ছিল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।