দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান আইসিসির ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকের দেশে-বিদেশে আলোচনায়। সাকিবের বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের পাশে সরকার কিভাবে থাকবে- সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার রিপোর্টেই আছে বিসিবি সাকিবের পাশে থাকবে। বিসিবি সব সময় সাকিবের সঙ্গে আছে এবং তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সঙ্গে জুয়াড়িরা যোগাযোগ করে। ওর যেটা ভুল হয়েছে, যখন যোগাযোগ করা হয়েছে, তখন বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। সে কথাটি আইসিসিকে জানায়নি। নিয়মটা হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে জানানো উচিত ছিল। সে এটাই ভুল করেছে। আইসিসি যদি অবস্থান নেয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের তো খুব বেশি কিছু করণীয় থাকে না। আমাদের দেশের ক্রিকেটার এবং খেলোয়াড় হিসেবে তার একটি অবস্থান আছে। সে ভুল করেছে, এটা ঠিক। সে সেটা বুঝতেও পেরেছে। আর বিসিবি বলেছে, তার পাশে তারা থাকবে। এর চেয়ে খুব বেশি যে করণীয় কিছু আছে, তা কিন্তু না।
ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়ে আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জাবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের যদি দাবিদাওয়া থাকত, তাহলে পূর্বেই জানাতে পারত। বিসিবিকে জানাতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। কথা নেই বার্তা নেই, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আমি এর আগে কখনো শুনিনি ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা ধর্মঘট করে। আর ধর্মঘট করতে হলে তো আগে দাবিদাওয়া উত্থাপন করে, একটা সময় দেয়, নোটিশ দেয়, তারপর করে। পরে আলোচনা হয়েছে, তারা গেছে এবং মিটমাট করা হয়েছে সে সমস্যা। এ সমস্যা আর নেই। আমরা বা বিসিবি খেলোয়ারদের যেভাবে সমর্থন দিই, পৃথিবীর খুব কম দেশ তা করে।
আজারবাইজান সফর সম্পর্কে জানাতে মঙ্গলবারের এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের ফোরাম নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (ন্যাম) সম্মেলনের ১৮তম সম্মেলনে যোগ দিতে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আজারবাইজান সফর করেন।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী এই ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন।