পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ দেশের ৭৩০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার ১৯টি জেলায় আঘাত হানতে পারে।
সিত্রাং আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংতেক দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানার সময় উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চল এবং এসব অঞ্চলের দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। এসব এলাকা ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
সিত্রাং মূলত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ পথে এগোলে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ভূবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার কথা। কিন্তু নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এর গতিপথ কিছুটা এগিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিয়েছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সিত্রাং ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আজ সোমবার এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ এটি খুলনা ও সন্দ্বীপের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে উঠতে পারে।