ডিসেম্বরে স্পেনের মাদ্রিদে আয়োজিত একটি ডিবেটিং অনুষ্ঠানে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। পূর্বশত্রুতার জেরে কেউ ফারদিনকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পরিবার।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ৪ নভেম্বর ফারদিন নূর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নিখোঁজের বাবা কাজী নুরুউদ্দিন রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। লাশ উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিডিতে কাজী নুরু উদ্দিন উল্লেখ করেন, ৪ নভেম্বর ফারদিন কোনাপাড়ার বাসা থেকে বুয়েট আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হয়ে যান। শুক্রবার হলে থেকে শনিবার পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। পরবর্তী সময়ে জানতে পারেন, ফারদিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। ছেলের মুঠোফোন নম্বরে তাঁরা যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কাজী নুর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, লাশ পচে ফুলে গেছে। লাশের সঙ্গে তাঁর ছেলের ব্যবহৃত দামি মুঠোফোন, ঘড়ি ও মানিব্যাগ পাওয়া গেছে। কিছুই খোয়া যায়নি। তাঁর ছেলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। ডিসেম্বরে স্পেনের মাদ্রিদে আয়োজিত একটি ডিবেটিং অনুষ্ঠানে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। পূর্বশত্রুতার জেরে কেউ ফারদিনকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।