হেলথ ডেস্ক :
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত অক্টোবরের শুরু থেকেই বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে; মৃত্যু হয়েছে দুই শতাধিক। ডেঙ্গুর ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্ট ডেন-৪-এর কারণে আক্রান্তরা তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে সারা দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে নষ্ট হয়ে থাকা পরীক্ষা করার মেশিনগুলো দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, রোগীদের যাতে পরীক্ষা করতে বাইরে যেতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় কোনো অবহেলা নয়; সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মফস্বল এলাকায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা না করে রোগীদের ঢাকায় পাঠাবেন না। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাইরে থেকে আসা রোগীদের কারণে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চল ও মফস্বল এলাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল ও কলেজে গিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে এডিস মশা বংশবিস্তার না করে সে দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০২২ সালের ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণাপত্রের ফলাফলে জানান, ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর সংক্রমণ কম হলেও প্রাণহানি বেশি। মাল্টিপল অর্গান ফেইলরই রোগীদের মৃত্যুর মূল কারণ।গবেষণাপত্রে বলা হয়, আক্রান্তদের দেরিতে ডেঙ্গু নির্ণয় ও হাসপাতালে নিতে দেরিসহ বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু দেশের একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন।