দেশের দক্ষিণ বঙ্গে লক্ষ লক্ষ নৌ যাত্রী পরিবহনে এক মেঘা পরিকল্পনা গ্রহন করেছে সরকার। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করা হবে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার চার নদীবন্দর। এতে প্রথম পর্যায়ে ৪৯৩ কোটি টাকা সম্ভব্য ব্যায় ধরেছে বিআইডাব্লিটিএ। সোমবার চামেলি হাউজের সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিআইডাব্লিটিএর এক কর্মশালায় এসব কথা জানান হয়। বাংলাদেশ আঞ্চলিক নৌ-পথ পরিবহন প্রকল্প-১ এর আওতায় শশানঘাট, নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশাল নদী বন্দর পুর্ননির্মানের উপর একটি খসড়া সম্ভব্য পরিকল্পনা উপস্থাপন ও ওই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিটিএ)।
কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, ঈদ, পূজা-পর্বনসহ বিশেষ কয়েকটি দিনে সদরঘাট নদী বন্দরে দেখা যায় কয়েকটি বিশাল জনসমাবেশের চেয়েও বেশি যাত্রীর ভিড়। এতে ঘটে বিভিন্ন অনাঙ্খিত ঘটনা। এবারের ঈদেও সদরঘাটে দেখা যায় জনসমুদ্র।
নৌ পথে দেশের দক্ষিণ বঙ্গে লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন সদরঘাট নদী বন্দর। স্বল্প আয়তনে একটি মাত্র বন্দরের পক্ষে এই বিশাল সংখ্যক যাত্রী সামাল দেওয়া দূরহ। বিধায় সদরঘাট টার্মিনালের পাশাপাশি শশানঘাটে নির্মান করা হবে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন আরেকটি নদীবন্দর।
এতে সদরঘাটে প্রায় অর্ধ শতাংশ যাত্রী চাপ কমে যাবে। এছাড়া নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশাল নদী বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করা হবে। বর্তমান সরকার নৌ পথ, নদী ও তার দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারে বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষে তিনি বদ্বিপ পরিকল্পনা গ্রহন করেছে এবং তা বাস্তাবায়নের পথে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ মন্ত্রালয়ের সচিব ড. আব্দুস সামাদ বলেন, সদরঘাট একটি বাণিজ্যিক এলাকা। রাস্তাঘাট অত্যন্ত সরু ও সদরঘাটের জায়গাও স্বল্প। তাই শশানঘাটে নতুন করে একটি অত্যাধুনিক বন্দর নির্মান করলে নির্বিঘেœ দক্ষিণ বঙ্গের নৌ পথের যাত্রী চলাচল করতে পারবে। পোস্তগোলা ব্রিজের পাশে অবস্থিত শশানঘাট বেশ কয়েকটি সড়কের সাথে যুক্ত। বিধায় বন্দরে যাত্রীদের পৌছাতে ব্যাপক সুবিধা হবে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. রাজিনদার খাজাঞ্চি।