বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বৈরকাঠীর চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চে ধর্মীয় কার্যক্রম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চ (ফেলোশিপ চার্চ) এর যাজক রাজু পাড়ৈ। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ’৭৩ বছরের পুরোনো এই চার্চ শুরু থেকেই সর্বোস্বত্যগী ধর্মপ্রচারকগণ পরিচালনা করে আসছেন। এই চার্চ বাংলাদেশের সমগ্র সহভাগিতা চার্চের কেন্দ্রবিন্দু এবং সহভাগিতা চার্চের প্রত্যেক সদস্যের কাছে পুণ্য ভূমি হিসাবে আখ্যায়িত। এই চার্চে অবস্থানকারী ধর্ম প্রচারকগণ সকলেই সর্বস্ব ত্যাগী, উৎসর্গীকৃত, অবৈতনীক ও অবিবাহিত। এই চার্চ পরিচালিত হয় চার্চ ভুক্ত নিয়মিত সদস্যদের স্বেচ্ছাদান ও দশমাংশের টাকায়। এই চার্চের বিশেষ বৈশিষ্য হচ্ছে, এই চার্চ সম্পূর্ণ পবিত্র বাইবেল ভিত্তিক ঈশ্বর তান্ত্রিক মন্ডলী। পবিত্র বাইবেলই এই চার্চের সংবিধান। কিন্তু সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল প্রচলিত বিশ্বাস ও শিক্ষা থেকে বেরিয়ে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত হয়ে এই পবিত্র চার্চকে এবং চার্চের নিয়মনীতি ও অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, চক্রটি বিভিন্ন সময়ে অহেতুক মিথ্যা ধর্মকর্ম করার নামে যখন তখন যাজকদেরউপর চড়াও হচ্ছে, শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করছে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চার্চ থেকে যাজকদের উৎখাতের চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন সময়ে কম্পাউন্ডে ঢুকে হট্টগোল ও অরজকতা তৈরী করছে এবং কম্পাউন্ডের বাইরেও যাজকদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত করছে। রাজু পাড়ৈ বলেন,মিল্টন সমাদ্দার, লিটন সমাদ্দার, অসিম সমাদ্দারসহ চক্রের সদস্যরা চার্চের পবিত্রতা নষ্ট, চার্চের সদস্যদের মারধর করাসহ বিভিন্ন ভাবে চার্চ বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
চার্চের বৈধ প্রায় ৩ একর জমির বিভিন্ন স্থান থেকে তারা বিভিন্নভাবে দখলের চেষ্টা করছে। যাতে বাধা দিলে গত ১৫ আগষ্ট চার্চের যাজক কম্পাউন্ডে বসে সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। যে ঘটনায় ২২ আগষ্ট চার্চের যাজক হ্যানসন দারিয়েল হাঁসদা উজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন। কিন্তু অসাধু চক্রটি এরপরও নানানভাবে অপপ্রচার ও যাজকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আর এ থেকে পরিত্রান পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যাজকসহ চার্চের সদস্যরা।