বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বরিশাল মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বরিশাল মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয় বাংলা স্লোগানে বরিশালের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর। এই দিন পাক হানাদার বাহিনীমুক্ত হয়েছিল বরিশাল ও ঝালকাঠিসহ দক্ষিণের বেশ কিছু এলাকা।

৮ ডিসেম্বর বরিশাল হানাদারমুক্ত হওয়ার এ দিবসটি স্মরণ করে মুক্তিযোদ্ধারা বরিশালে আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

বরিশাল মহানগর ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নগরের বগুরা রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. মোকলেছুর রহমান প্রমুখ।

এসময় মুক্তিযোদ্ধারা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্মৃতি বিজরিত দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন।

এদিকে বরিশাল মুক্ত দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বিবৃতি দিয়েছেন।

উপাচার্য বলেন, যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের বিনিময়ে বরিশাল অঞ্চল পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল তাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তাদের এ আত্মত্যাগকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশ স্বাধীন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সে চেতনা বুকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করবো, এ হোক বরিশাল মুক্ত দিবসের অঙ্গীকার।

অপরদিকে বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝালকাঠিও হানাদারমুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিন বিজয়ের বেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেন। জেলার সর্বত্র আনন্দ উল্লাস করে স্বাধীনতাকামী জনতা। ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল ভারী কামান আর মর্টার শেলের গোলা নিক্ষেপ করতে করতে পাক হানাদার বাহিনী ঝালকাঠি শহর দখলে নেয়।

পাক বাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা জুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুট ও আগ্নিসংযোগসহ নারকীয় নির্যাতন চালায়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন নিরীহ বাঙালীদের ধরে নিয়ে যেতো তারা। তারপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে সেসব নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হতো।

কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ৭ ডিসেম্বর শহরে কারফিউ জারি করে রাতের আঁধারে ঝালকাঠি ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকবাহিনী। পরের দিন ৮ ডিসেম্বর রাজাকাররা তরুণ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় ঝালকাঠির আকাশ-বাতাস। এদিনই পাকহানাদারমুক্ত হয় ঝালকাঠির বর্তমান নলছিটি উপজেলা।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech