বর্তমান বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে চার জেলা শহর হানাদার মুক্ত হয়েছিল আজ। এ কারণে বরিশাল বিভাগের জন্য ৮ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক দিন।
১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের প্রতিরোধে পিছু হটেছিল পাকবাহিনী। হানাদার মুক্ত হয়েছিল বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি। এই চার জেলাতেই দিবসটিতে বিশেষ কর্মসূচি পালন করছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
দিবসটি উপলক্ষে সকালেই বরিশালে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর বগুড়া রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় চত্ত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। র্যালিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বরিশাল কমান্ড জেলা ও মহানগর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বরিশাল জেলা ও মহানগরসহ সমমনা সংগঠন অংশ গ্রহণ করে। এরপরই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের এই দিনে বরিশাল শহর কেন্দ্রিক বিভিন্ন সড়ক পথ চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় হানাদাররা নৌ-পথে পালিয়ে যায়। পাক বাহিনীর শহর ত্যাগের খবরে ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ বরিশালের মুক্তিকামী মানুষ বিজয়ের আনন্দে স্লোগান দিয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে।
দিবসটি উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। এছাড়া বিজয় র্যালি, সংসদ চত্বরে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয় । খেলাঘর জেলা কমিটির উদ্যোগেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
ঝালকাঠীতেও দিনটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
পিরোজপুরে দিবসটি উপলক্ষে মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহরের স্বাধীনতা চত্বর থেকে সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোর মিছিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।