বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ঝাঁজ মিসরীয় পেঁয়াজেও

ঝাঁজ মিসরীয় পেঁয়াজেও

নিউজ ডেস্ক:

নাইরা-চাইরা লাভ নাই, নিলে এক দাম কেজি ১০০ টাকায় নিতে পারেন। দেশি পেঁয়াজের মতো খাইতে স্বাদ।

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে আজ (সোমবার) সকালে এক পেঁয়াজ বিক্রেতা এক ক্রেতাকে ভ্যানের ওপর রাখা পেঁয়াজ নেড়েচেড়ে দেখতে দেখে এ মন্তব্য করেন। এ সময় ক্রেতা বলেন, নাড়ি কি আর সাধে, পরশু এই পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকা কেজিতে আর দুদিনেই দাম বাইড়া ১০০ টাকা। এইডা আবার নতুন কোনো পেঁয়াজ কি না তা দেখলাম। এতদিন দেশি পেঁয়াজের দামই বাড়ছে, অহন দেখি মিসরীয় পেঁয়াজেরও ঝাঁজ বাড়ছে।

বিক্রেতার জবাব, ‘বেশি দামে কিনি বেশি দামে বেচি। আমাগো কিছু করার নাই।’

onion

দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা হওয়ায় সম্প্রতি মিসরীয় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ে। বিশাল আকারের একেকটি মিসরীয় পেয়াজের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে ৪৫০ গ্রাম।

আজ (সোমবার) লালবাগের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন পাড়ামহল্লার দোকানপাট ও ভ্যানগাড়িতে এক কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাদানুবাদও হচ্ছে।

আজিমপুর শেখ সাহেবের বাসিন্দা আবদুস সবুর জানান, গত দুদিন আগে একই পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় তিনি পয়সা বাঁচাতে মিসরীয় পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করেন। দুদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ টাকা দাম বেড়েছে।

onion

তিনি বলেন, দেশটা মগেরমুল্লুক হয়ে গেছে নাকি? পেঁয়াজের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। টিসিবির ট্রাকে যে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, সেই পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বাইরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে কতিপয় ব্যবসায়ী ইচ্ছেমাফিক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। মিসরীয় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা হয়ে যাওয়াটাই তার বড় প্রমাণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সরকারিভাবে টিসিবির ট্রাকে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে প্রতিদিন ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও পেঁয়াজ পাচ্ছেন না।

মাখন মিয়া নামের একজন পেঁয়াজ বিক্রেতার কাছে মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্যামবাজার থেকেই তাদের বস্তাভর্তি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে। ৪০-৪৫ কেজির পেঁয়াজের বস্তায় থাকা পেঁয়াজ পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ না থাকায় অনেক পেঁয়াজ নষ্ট পান তারা। গাড়িভাড়সহ বিভিন্ন খরচ মিটিয়ে তাদের ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি না করলে পোষায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech