আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। তার জন্ম পাকিস্তানে, তার বাবা-মায়ের কবরও পাকিস্তানে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুনের ঘটনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক সরাসরি জড়িত ছিলেন। এমন অনেক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। যদি তারা বেঁচে থাকতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর অন্য খুনিদের মতো তাদেরও ফাঁসি হতো। মৃত মানুষের তো বিচার হয় না। এজন্য জিয়া ও মোস্তাকদের বিচার হয়নি।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাউন্সিলরদের নিয়ে কলেজের একটি কক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদকের নাম চূড়ান্ত করতে সমঝোতা বৈঠক হয়। কিন্তু সাত উপজেলার কাউন্সিলরদের তালিকা আপডেট না থাকার কথা জানিয়ে মঞ্চে না উঠেই কলেজের কক্ষ ত্যাগ করেন অথিতিরা।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ঘাতকরা দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কালো অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। ঘাতকদের পুনর্বাসন করা হয়, কেউ হন মন্ত্রী, কেউ রাষ্ট্রপতি, কেউবা বিদেশে চাকরি পান। এসব কিছুর নেপথ্যে ছিলেন জিয়াউর রহমান। তাই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আদালতেও অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন, এখন তার জামিন যাওয়া হচ্ছে। বিদেশে নিতে চাচ্ছে, খালেদাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়া হলে দেশের সব চোরদের বিদেশে পাঠনোর অনুমতি দিতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোল নজিরবিহীন ঘটনা। শুধু বাংলাদেশ কেন, পৃথিবীর কোনো দেশে প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এমন হট্টগোলের নজির নেই।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আউয়াল সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি, মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া এমপি, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি, রাজি মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সি এমপি ও সেলিমা আহমাদ মেরী এমপি প্রমুখ।