ডেস্ক রিপোর্ট :
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সামুদ্রিক ঝড় ‘মোখা’ আগামী ১০ মে উত্তর-উত্তরপশ্চিমে সরে গিয়ে পরদিন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। আজ শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) তথ্য অনুসারে, আগামীকাল বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে। পরদিন এর প্রভাবে সেখানে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৮ মে এটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপের রূপ নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে পারে।
আইএমডি জানায়, আগামী ৭ মে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ও গতিপথ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে।
এদিকে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পালাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার স্থল ভাগে আঘাতের সময় ও স্থান ৯মে পর্যন্ত অনিশ্চিত। এর মানে এই না যে এই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাত করবে না। আসলে আজ ৫ই মে বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলে যে স্থানে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে সেই স্থানেই যে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত করবে তা এখনই নিশ্চিত করে বালা যাবে না। কারণ ৭ দিন পূর্বের পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড়ের চলার পথের অনিশ্চয়তা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। ফলে উইন্ডি কিংবা অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ঘূর্ণিঝড়টির চলার যে পথ কিংবা স্থল ভাগে আঘাতের যে স্থান দেখাচ্ছে, তা ৩০০ কিলোমিটার ডানে কিংবা বায়ে হতে পারে।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া এ বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোখা’। কফির জন্য খ্যাত ইয়েমেনের ‘মোখা’ বন্দরের নামে ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।