ডেস্ক রিপোর্ট :
পাকা রসিদ ছাড়া কর্পোরেট হাউস, পোলট্রি খামারি, আড়ৎ ও পাইকারিতে কোনো ধরনের ডিম বিক্রি করা যাবে না। খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না।
ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শিল্পমালিক, খামারি, আড়ৎদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আজ এক বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
মহাপরিচালক বলেন, আমদানি নীতি আদেশের মাধ্যমে দেশের শিল্পমালিক ও ব্যবসায়ীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক দামে ডিম বিক্রি করলে তা দ্রুত আমদানির পথে হাঁটবে সরকার। তখন খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, ১৬ আগস্ট থেকে পাকা রসিদ ছাড়া কোনো পর্যায়ে ডিম বিক্রি করা যাবে না। কেউ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএমএস বা খুদে বার্তার মাধ্যমে পোলট্রি মাংস ও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণের ঘটনায় মামলা হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
ডিম উৎপাদনকারীরা জানান, প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১২ টাকার ওপরে উঠবে না।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো মাত্র ২০ শতাংশ ডিম উৎপাদন করছে, অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ ডিম পোলট্রি খামারিরা উৎপাদন করছে। অথচ ডিমের শতভাগ বাজার কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডল ১১ আগস্ট রাতে রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজার আড়তে অভিযান চালান। অভিযানে তিনি দেখতে পান অধিকাংশ ব্যবসায়ী কোনো ধরনের রসিদ ছাড়াই অর্থাৎ কত দামে কেনাবেচা হচ্ছে, সে ধরনের তথ্য ছাড়াই ডিম বিক্রি করছেন। এসব অসংগতির কারণেই মূলত বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে বলেও জানান তিনি।