ডেস্ক রিপোর্ট:
সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে কমপক্ষে ৩৬০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ করে ৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণে এসেছে ধরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে এসব বাণিজ্য হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা।
তিনি জানান, কক্সবাজারে পর্যটক আগমণের সঠিক পরিসংখ্যান থেকে পর্যটকের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় না। প্রকৃত অর্থে সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। বিভিন্ন সময় কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আগত পর্যটকের সংখ্যা নিয়ে পরিসংখ্যা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে কক্সবাজারে আগত পর্যটক গড়ে কম হলেও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা প্রতিদিন ব্যয় করে থাকেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদে মিলাদুন্নবীসহ ৩ দিনের টানা ছুটি ছিল। এবার ছুটিতে পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল চলছে। টানা ছুটিতে কক্সবাজারে প্রতিদিন গড়ে লাখের অধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। সেই হিসেব মতে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ করে ৩ দিনে ৩ লাখ পর্যটক এসেছেন। আগত পর্যটক প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার টাকা করে ব্যয় করলে এই ৩ দিনে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে ৩৬০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, কক্সবাজারের ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেলের টানা ৩ দিন ৯৯ শতাংশ কক্ষ বুকিং ছিল। এ হিসেব মতে প্রতিদিন গড়ে লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করেছেন। ৩ দিনে ৩ লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন। তবে রবিবার থেকে পর্যটক সংখ্যা কমে গেছে। ৩০ শতাংশও পর্যটক এখন কক্সবাজারে নেই।
যদিও বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল ঘিরে কক্সবাজারে এখনও রয়েছে নানা অনুষ্ঠানমালা। যা চলবে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের পর্যটনখাতকে বিশ্বময় করার লক্ষে পুরো আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।