ডেস্ক রিপোর্ট :
বিএনপির গতানুগতিক কর্মসূচি তাদের ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি, দলটির মুখে মানবাধিকারের বুলি শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গতানুগতিক কর্মসূচি অবরোধ হরতাল এটা বিএনপির ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তাদের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট। মানবাধিকারের কথা বলতে হলে ফিলিস্তিনের কথা বলতে হবে। ১৮০০০ মানুষ মেরেছে। এখনো চলছে। অথচ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইসরায়েলের পক্ষে একমাত্র সমর্থন দিল যুক্তরাষ্ট্র। এ থেকে প্রমাণিত ইসরায়েল নামক দুষ্টু ছেলে আমেরিকার সন্তান। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা দেখলাম যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডায় ১৩টি দেশের ৯০ জনকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এই দেশে স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। এই নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই হত্যার বিচার পর্যন্ত পায়নি। জেলের ভেতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেষ করে দিতে হত্যাকাণ্ড। জিয়ার পর খলেদা জিয়াও গুম-খুনের রাজনীতি করেছে। বিএনপি জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তাদের লজ্জা নেই। এদেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। মিস ফায়ারের বিরুদ্ধে (গাজার হত্যার বিরুদ্ধে) যারা ভোট দেয়, তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ?
২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারতের পর জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবে আওয়ামী লীগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।