ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদদাররা কোথায় কীভাবে পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সেই তথ্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, পেঁয়াজ কারসাজির সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে নিজ কার্যালয়ে আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ভোক্তার মহাপরিচালক।
গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে দেশে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যায়। তবে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানির জন্য আগেই এলসি খোলা ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে নিয়ে আসা, বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনাসহ সরকার ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ‘পেঁয়াজ কারসাজির সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদদাররা কোথায় কীভাবে পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে, সেই তথ্য নেওয়া হচ্ছে।’
এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পেঁয়াজের দাম একেবারে যৌক্তিক মূল্যে আনার আশ্বাসও দেন সফিকুজ্জামান।
এদিকে, আজ বিভিন্ন বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। যার ফলে দাম ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আগের দিনের তুলনায় বেশি পরিমাণে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দেখা মিলেছে। দামও তুলনামূলক কম। মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।