ডেস্ক রিপোর্ট :
জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে উপেক্ষা করে একদলীয় নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আতঙ্কে ভুগছে দাবি করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তাদের দুশ্চিন্তা এখনও কাটেনি। গত কিছুদিন ধরে ওয়ান ইলেভেনের আতঙ্কের কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত ২৪ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘ভারত দেশের আরেকটি ১/১১ ঠেকালেও জনগণের রুদ্ররোষ থেকে আওয়ামী লীগ পার পাবে না। এই সরকারের পতন অনিবার্য। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পিটার হাস ভারতে গেছেন। কিন্তু, বাংলাদেশে আর ১/১১ ঘটাতে সমর্থন দেবে না ভারত। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কথায় প্রমাণ হয়, ডালমে কুচ কালা হে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনা নিয়ন্ত্রিত অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করেছিল। সেই ১/১১ এর মাস্টারমাইন্ড তাহলে কারা তা ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রকাশ করলেন। এজন্য সেদিন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ১/১১ আমাদের আন্দোলনের ফসল। তাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ নয়। প্রতিবেশী দেশটি এই নির্বাচনহীন সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।’
আওয়ামী লীগ লুটেরা-ডাকাতের দলে পরিণত হয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, তারা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্র সবকিছু ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশকে দেউলিয়া ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার অবারিত সুযোগ ও উৎসাহ দিয়ে অপরাধী বানিয়ে তার অবৈধ এবং পাতানো নির্বাচন করাতে বাধ্য করছেন।’
টিআইবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো মন্ত্রী বিদেশে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা করলেও নির্বাচনি হলফনামায় এ তথ্য গোপন করেছেন, সেই তথ্য তুলে ধরেছে। এই সত্য প্রকাশ করায় আওয়ামী সরকারের আঘাত লেগেছে। তাই তো ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন।’
রিজভী বলেন, কেউ সত্য কথা বললে বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গেলেই কাদের সাহেবরা তাকে বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকারের ট্যাগ দেন। যারা সত্য কথা বলবে তারাই বিএনপির লোক। আর তাদের অনাচার ও দুর্নীতির পক্ষে গেলে সে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লোক, ভালো মানুষ। আওয়ামী লীগে ঢুকলে সন্ত্রাসীদেরও বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক।’