ডেস্ক রিপোর্ট :
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০১ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেঙ্গুর প্রকোপের মারাত্মক বিস্তারের এ বছর মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে এটি রেকর্ড। এর আগে শুধু এক বছরে নয়, আগের সব বছর মিলিয়েও ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ।
প্রাণহানির পাশাপাশি এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও অন্য বছরগুলোর তুলনায় তিনগুণ বেশি।
সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১০ জন ডেঙ্গু রোগী নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ৯৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সবমিলিয়ে এ বছর এইডিস মশাবাহিত এ রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেন ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৭ জন। ঢাকা শহরের বাইরে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ, ২ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন।
এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় মৃত্যু হয়েছিল ২৮১ জনের। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এর আগে এক বছরে সর্বোচ্চ ভর্তি ছিল। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮২ জন এবং ঢাকায় এ সংখ্যা ২৮ জন।
এ বছর সব মিলিয়ে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১ হাজার ৭০১ জনের মধ্যে ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭৮ জনের; ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা ৭২৩।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ৮৬৭ জন রোগী। তাদের মধ্যে ২৮১ জন ঢাকায় এবং ৫৮৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
মাসের হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ জন, জুলাইয়ে ৪৩ হাজার ৮৭৬ জন, অগাস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, সেপ্টেম্বরে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং অক্টোবরে ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন, নভেম্বর মাসে ৪০ হাজার ৭১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ডিসেম্বরের প্রথম ২৮ দিনে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৫৪ জন।
মাসওয়ারী মৃত্যুর হিসাবে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুইজন, মে মাসে দুইজন, জুনে ৩৪ জন, জুলাইয়ে ২০৪ জন, অগাস্টে ৩৪২ জন, সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ জন, অক্টোবরে ৩৫৯ জন এবং নভেম্বরে ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়।