ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জাতির পিতার প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায়, অনগ্রসর মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য দেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই সাংবিধানিক নিশ্চয়তা প্রদানসহ সুদূরপ্রসারী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২ জানুয়ারি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমাজ সেবায় গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।” তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি প্রবর্তন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য পল্লী মাতৃকেন্দ্র শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। শিশুদের সুরক্ষায় প্রণয়ন করেন শিশু আইন, ১৯৭৪। জাতির পিতা শিশু বিকাশের লক্ষ্যে কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন, বর্তমানে যা সরকারি শিশু পরিবার নামে পরিচিত। প্রতিটি শিশু পরিবারে আমাদের সরকার প্রবীণদের জন্য ১০টি আসন বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন ধরনের ২২৬টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, অনাথ প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহীতা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিবর্গসহ সহায় সম্বলহীন মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে লাগসই ও টেকসই প্রকল্প গ্রহণসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মোট ৫৪টি জনহিতকর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে এক কোটি ১৫ লাখ উপকারভোগীর ভাতা ও অনুদানের টাকা সরাসরি তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে জি-টু-পি পদ্ধতিতে।’
শেখ হাসিনা জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।