বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের: পান্টল্যান্ড পুলিশ

আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের: পান্টল্যান্ড পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মিকারী সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছে মালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ।

পান্টল্যান্ড পুলিশ, যে জলদস্যু দল সাগরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের সঙ্গে ভূমির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডারের বরাত দিয়ে বিবিসি সোমালি শুক্রবার এ খবর দিয়েছে।

পুলিশ কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলছেন, এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়।

তিনি বলেন, “জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়। আমরা এখন তীরে আছি। আমাদের পরিকল্পনা হল, জলদস্যুরা যাতে নিজেদের সংগঠিত করতে না পারে এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যারা আছে, তারা যাতে তীর থেকে আর কোনো সাহায্য না পায়। সমুদ্রের অংশে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ঘোরওয়ের মধ্যে আছে। তাই সেদিক থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন।”

পুলিশ কমান্ডার মারদুউফ বলেন, “জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা আগের জাহাজ, অর্থাৎ বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।”

গত বছরের নভেম্বর থেকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর যে প্রায় দুই ডজন জাহাজে হামলা করেছে, তার মধ্যে সর্বশেষ দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।

নুগাল পুলিশ প্রধান মারদুউফ বলেন, জাহাজ ও ক্রুদের বাঁচাতে যেকোনও অভিযানে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, পান্টল্যান্ড পুলিশ কয়েক দিন আগে একটি নৌযান জব্দ করে, যাতে করে আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুতের জন্য ‘খাত’ নামের এক ধরনের মাদক সরবরাহ করা হচ্ছিল।

জলদস্যুদের যে দলটি আবদুল্লাহকে দখল করে রেখেছে, সেই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে স্থানীয় পুলিশ।

বিবিসি সোমালি জানিয়েছে, পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদের উপকূল জলদস্যুমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নেমেছ।

এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর কাছেই একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স-ইইউএনএভিএফওআর এর আটলান্টা অপারেশন।

ইউরোপীয় এই বাহিনী বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলেছে, “২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে দস্যুতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তিনটি বাণিজ্যিক শহর জাহাজে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি এমভি আবদুল্লাহ এখনও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই এলাকায় আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন আছে।”

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এ ইইউএনএভিএফওআরের পোস্টের সঙ্গে যুক্ত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে এমভি আবদুল্লাহর অদূরে অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধ জাহাজটি অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া আবদুল্লাহর কাছাকাছি চক্কর দিচ্ছিল একটি হেলিকপ্টার।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech