ডেস্ক রিপোর্ট :
অবরুদ্ধ গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের চারিদিকে ইসরায়েল বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে কয়েকটি হাসপাতালের আশপাশে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।
যদিও সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
এছাড়া কাতারে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনাও থমকে আছে। এ জন্যে হামাস ও ইসরায়েল একে অন্যকে দোষারোপ করছে।
এদিকে ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেলআবিবের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। গাজায় অধিকহারে বেসামরিক হতাহত, মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সংকট তীব্র হওয়া এবং গাজার দক্ষিণে রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই হতাশ। এর ফল হিসেবে দেশটি নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয়া থেকে বিরত থাকে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েল একে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট পিছু হটা বলে মন্তব্য করেছে।
ইসরায়েল বুধবার রাতভর গাজা শহর ও রাফায় বোমা হামলা চালিয়েছে। আগুনের গোলায় আলোকিত হয়ে ওঠে গাজার আকাশ।
এদিকে ইসরায়েলী বাহিনী গাজার তিনটি হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে ফিলিস্তিনী গ্রুপ হামাসের সাথে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত এবং রোগী ও চিকিৎসকদের নিয়ে আশংকা বাড়ছে।
হামাস হাসপাতালগুলো ব্যবহার করে তাদের কর্মকান্ড চালাচ্ছে এ অভিযোগে গাজার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েল গত সপ্তাহে হামলা শুরু করে। এরপর আরো দু’টি হাসপাতালে ইসরায়েল অভিযান চালায়।
যদিও হামাস তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধের প্রায় ছয় মাসে গড়িয়েছে। হতে চলল। অবরুদ্ধ গাজায় খাবার, পানি ও জ্বালানির তীব্র ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহের বাধা দিচ্ছে বলেও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা অভিযোগ করে আসছে।
এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২৪ লাখ লোক মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবন্ধে জোর তৎপরতা কয়েকসপ্তাহ ধরেই অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে উভয়পক্ষ থেকে আলোচায় কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, চলমান আলোচনা একটি কৌশলগত পর্যায়ে রয়েছে।
তবে হামাস নেতা গাজী হামাদ বলেছেন, একরোখা ইসরায়েল চাচ্ছে যুদ্ধ চলুক।
তিনি আরো বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কিংবা বন্দী বিনিময় আলোচনায় কোন অগ্রগতি নেই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এরপরই ইসরায়েল পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং হামাসকে নিশ্চিহ্নের অঙ্গীকার করে।
ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু