ডেস্ক রিপোর্ট :
তাইওয়ানে গতকাল বুধবারের (৩ মার্চ) শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। গত দুই যুগের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বহু বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ভূকম্পনের পরপরই জারি করা হয়েছিল সুনামি সতর্কতা। ভূমিকম্পের কারণে ভূমিধসের ঘটনায় আটকা পড়েছেন অনেকে। দ্বীপরাষ্ট্রটির উত্তর-দক্ষিণের সংযোগকারী টানেলেও আটকা পড়েছেন বহু লোক। কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনা। পাশাপাশি তারা সামনের দিনগুলোতে আরও ভূমিকম্পের ঘটনার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
তাইপের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের ভূকম্পন কেন্দ্রের পরিচালক উ চিয়েন ফু বলেন, ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এটাই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। সে সময় দ্বীপদেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুই হাজার ৪০০ লোক নিহত হয়।
গতকাল বুধবারের ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তাইওয়ানের হাউলিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ৩৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার গভীরতায়।
ভূমিকম্পের পরপরই তাইওয়ান, জাপান ও ফিলিপাইনে জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে মেট্রোরেল চলাচল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শহরের অধিবাসীদের প্রতি গ্যাস লিকের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানানো হয়।
চীনের ফুজিয়ান প্রদেশেও অনুভূত এই ভূমিকম্প। তাছাড়া হংকংয়ের অধিবাসীরাও জানিয়েছে, তারা ভূমিকম্প অনূভব করেছেন।