ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পিরোজপুরে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে নিজ বাড়ি সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা, ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বাদী হয়ে এ মামরা দায়ের করেন। ওই মামলায় চাঁন মিয়া মাঝি ছাড়াও তার ছেলে মুরাদ হোসেন মাঝি, ভাগ্নে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হারুন অর রশিদ বাদশা, মো. মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার মাঝি, লোকমান হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু, মো. সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকসহ অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের একটি ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলার পর পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি চাঁন মিয়া মাঝিকে গ্রেফতার করে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার এবং আইনি সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট মনোনীত প্রার্থী আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদীর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার নির্বাচনের পক্ষে তৎকালীন জেলা বিএনপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম নির্বাচনি কাজ করতে ঢাকা থেকে পিরোজপুরের বাড়িতে যান। ২০১৮ মালের ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁন মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ব্রিজের ঢালে তার গাড়ি থামিয়ে ভাঙচুর এবং গাড়ির মধ্যে থাকা ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ও লিফলেট ছিনিয়ে নেয়।