স্টাফ রিপোর্টার:
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারে নাম থাকার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি । আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে সদর রোডে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন বরিশালে সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক , সামাজি, সাংস্কৃতিক সংগঠন। এতে বক্তব্য রাখেন রাজাকারের তালিকায় নাম থাকা বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ সন্তান অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী, তার মেয়ে জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, প্রবীন সাংবাদিকও মুক্তিযোদ্ধা মানবেন্দ্র বটব্যাল, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও শহীদ পরিবারের সন্তান পুলক চ্যাটার্জী , শুবব্রত দত্ত , নাট্যজন সৈয়দ দুলাল ,বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোকলেছুর রহমান, মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উন্নয়ন সংগঠক আনোয়ার জাহিদ, সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কমরেড আহসান হাবীব লাবলু, শিক্ষক নেতা দাস গুপ্ত আশীষ কুমার, রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ ঘোষ পুতুল, জেলা গনফোরাম সভাপতি এ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস মিঠ, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধাররণ সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ টিপু সুলতান । বক্তরা অনতিবিলম্বে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার করে যাচাই-বাছাই করে নতুন তালিকা প্রকাশের দাবী জানায়। একই সাথে ব্যর্থতার দায় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব্য প্রাপ্ত মন্ত্রীর পদত্যাগের আহবান জানায়। বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশান্ত ঘোষের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি নজরুল বিশ্বাস,সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাব , বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ বরিশাল, জেলা সিপিবি, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেল মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্টসহ অন্তত ২০ টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।