আবছা সূর্যের ঘণকুয়াশাআর কণকণে শীতে কাঁপছে দক্ষিণাঞ্চল। ঠান্ড জনিত রোগেবিপর্যস্ত জনস্বাস্থ্য।ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে জনজীবন। শৈত্য প্রবাহে সূর্যের আলো ফসলী জমিতে না পড়ায় নষ্ট হতে চলছে শীতকালীন সবজি।কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ও তাপমাত্রা কমে আসায়া কাজের সন্ধানে নিম্মায়ের মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় এবং উৎপাদিত মৌসুমী ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম র্দুভোগে পড়ছে এসব মানুষগুলো। গত দু‘দিন ধরেমৌসুমের সর্বনিম্ম তাপমাত্রায় বিপর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের সর্বস্তারের মানুষ।
তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে নামার সাথে উত্তর ও উত্তর- পূর্বের হিমেল হাওয়ায় কৃষি এবং শীত আাবহাওয়া জনস্বাস্থ্যে বাড়ছে ঝুকি।সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ীয় দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে মেনে ছিল। অথচ ডিসেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলে স্বাভাবিক সর্বনিম্ম তাপমাত্রা থাকার কথা ১৩.৩ ডিগ্রী। এর সাথে মেঘলা আকাশ শীতের অনুভ’তি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপছে দক্ষিণাঞ্চল। গত দু‘দিনে আকাশে সূর্য ক্ষীণ উঁকি দেয় সকাল ১০টারও পরে। তবে দিনভরই মেঘ আর সূর্যোর লুকোচুরি মাঝে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন র্দুভোগ বৃদ্ধি পায়। এর সাথে হালকা থেকে মাঝারী বাতাস ও ঘণকুয়াশায় সড়ক এবং নৌ-যোগাযোগের জন্য ঝুকি বৃদ্ধির সাথে রবি ফসলের উৎপাদন ও গুনগত মান ক্ষতিগ্রস্থহবারও আশঙ্কা বাড়ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অদিদপ্তর সূত্র জানায়, বছরের এই সময়টায় সাইবেরিয়া থেকে আসা হিমেল হাওয়া হিমালয়ে বাধা পায়। ওই হিমেল বাতাসের সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসের মিশ্রণ হয়। এতে বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প তৈরী হয়। এই জলীয় বাষ্পই কুয়াশা হয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার কারণেই শৈত্য প্রবাহের সৃষ্টি হয়। উপ-মহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভিবিক লঘুচাপ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। দক্ষিণাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের তাপমাত্রা আরো সামান্য কিছুটা হ্রাসের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহ দক্ষিণাক্ষলেও বিস্তৃতি লাভের আশংকার কথা জানা গেছে।
তাপমাত্রার পারদ স্বভাবিকের চেয়ে নেমে যাওয়ায় রোবো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশঙ্কা করছে চাষীরা। এ শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকলে গোল আলু, ফুলকপি, গাজর, বাধকপি, মুলা, শাগলম সহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী সবজির গুণগত মান যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ববনা রয়েছে বলে জানিয়েন জেলা কৃষিবিদগন। তবে শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকা অবস্থায় প্রতিদিন সকালে রোবো বীজতলাতে লঠি দিয়ে চাড়ার গায়ে জমে থাকা শিশির ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদগন। শৈত্য প্রবাহ এভাবে অব্যাহত থাকলে জনস্বাস্থেও যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩ দিনে শৈত্য প্রবাহে বরিশালে প্রায় ৬৩ হাজার শিশু ও বয়স্ক মানুষ নিউমোনিয়া, টাইফয়েড়,সর্দি, কাশি, ও ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রন্ত হয়েছে।