ভিপি নুরুল হক নুরকে আর ডাকসুতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জিএস গোলাম রাব্বানি। একই সঙ্গে ‘নুর আহত হয়েছে নাকি নিহত হয়েছে, এটা ডাজ নট ম্যাটার’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ডাকসু চত্বরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে গোলাম রাব্বানী এসব কথা বলেন। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে এ বক্তব্যের বিষয়ে পরবর্তীতে গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘নুর আহত হয়েছে নাকি নিহত হয়েছে, এটা ডাজ নট ম্যাটার’-এই মন্তব্যটি করার কথা অস্বীকার করেন।
হামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাকসু জিএস বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বা যারাই প্রতিবাদ করুক না কেন, প্রতিবাদের যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ নুরের অপকর্ম সবাই জানে। এ কারণে প্রতিবাদ করেছে। এ বিষয়ে নুরের যদি কোনো বক্তব্য থাকতো আমার সঙ্গে কথা বলতো। কিন্তু সে ডাকসু বডির কোনো সদস্যের সঙ্গে কথা বলেনি, যোগাযোগ করেনি।
গোলাম রাব্বানী আরও বলেন, নুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রকে আনেনি। একেবারে বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে। তারা কিভাবে রড-চাপাতি নিয়ে ডাকসুতে ঢুকলো। আমাদের কথা হলো মারামারি করলে নুর করুক, তার লোকজন নিয়ে বাইরে করুক। সে ডাকসুকে ব্যবহার করে ডাকসুর মধ্যে বহিরাগতদের এনে অস্ত্রসহ কেন ঢুকবে? আমাদের সহজ কথা- নুর আহত হয়েছে নাকি নিহত হয়েছে, ‘এটা ডাজ নট ম্যাটার।’ আমাদের কথা হলো সে বহিরাগতের নিয়ে কেন ডাকসুতে ঢুকবে?
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম রাব্বানী বলেন, বহিরাগতদের নিয়ে তো তার আসার কথা না। সে আমাদের তো বলবে। যদি আমাদের বলার পর প্রতিকার না পেত, সে আক্রান্ত হলে ডাকসুর যে বডি তাকে সেভ করতে না পারতো, তাহলে তার দায়ভার আমরা নিতাম।
ডাকসু জিএস আরও বলেন, আধলা ইট-এগুলো জড়ো করে ডাকসুতে অবস্থান নিয়েছে। ডাকসুর কাচ ভেঙেছে, ভেতরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নুর যদি ক্ষতিগ্রস্ত হতো- সে আমাদের ডাকসুর সর্বোচ্চ পদে আছে- ডাকসু বডির সঙ্গে যোগাযোগ করতো। তারপরও যদি হামলা হতো তাহলে তার দায়ভার আমরা নিতাম। কিন্তু সে ডাকসুতে সন্ত্রাসী স্ট্যাইলে বহিরাগতদের নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত- নুরের মতো একটা ফালতু ছেলেকে ডাকসুতে আর ঢুকতে দেব না। তাছাড়া সে ডাকসুর কোনো কাজই করে না বলেও মন্তব্য করেন গোলাম রাব্বানী।
এর আগে, রবিবার দুপুরে ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকে ইট-পাটকেল ছোঁড়াও হয়। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য ভিপি নুর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে দায়ী করেছেন।