নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ আসন্ন সব নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। এসময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানসহ জেলা ও বিভাগের নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কারচুপির কোনো আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ১৩ জানুয়ারি। আর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি। এসব নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে।’
তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ভালো আছে বলে জানিয়েছেন তারা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর সমর্থকদের আচরণ বিধিবর্হিভূত হয়নি। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়েও প্রস্তুত আছেন সবাই। ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচনের ফলাফল দ্রুত দেওয়া যাবে।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘মার্চ মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে পারে। আজকের সভায় দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে একটি রোহিঙ্গাদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া কিভাবে বন্ধ করা যায় এবং এনআইডি জালিয়াতি কিভাবে প্রতিহত করা যায় তা। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যেসব মামলা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই আউটসোর্সিং স্টাফ। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কর্মকর্তারা এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা রোহিঙ্গা হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তাদেরকে সনদ দিয়েছে বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি।’