অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পূজা ও নির্বাচন একই দিনে হতে পারে না। ষড়যন্ত্র বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই পরিকল্পিতভাবে পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন ডাকসু ভিপি।
বুধবার বিকেলে ডাকসু ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন।
ডাকসু ভিপি বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি দেশ। সরস্বতীপূজা সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব। সরস্বতীপূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা সরকারের একটি নীলনকশা। নির্বাচন কমিশন সরকারের কনসার্ন ছাড়া নিশ্চয়ই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি। একটি ষড়যন্ত্র বা বিশৃঙ্খলার করার জন্যই এ কাজটি করা হয়েছে।
নুরুল হক আরও বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের দিন মানুষ ভোট দেবে, নাকি তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে? তাই আমাদের দাবি, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে হবে। হয় এগোতে হবে, নয়তো পেছাতে হবে।
গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছিল। হামলার পর আজই প্রথম নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করেছেন নুর। এসময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় ডাকসুর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রুমের তালা খুলে দিয়ে নুরকে চাবি বুঝিয়ে দেন। এর আগে হামলার ঘটনার তদন্তের জন্য চাবি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ভিপি নুর বলেন, ডাকসুতে হামলার তদন্ত চলছে বলে শুনছি অনেকদিন ধরে। কিন্তু সে তদন্তের শেষ কোথায় আজো জানি না। তদন্ত কমিটি আমাকে ডেকেছিলো। আর আজকে রুমের চাবি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে সবসময় বিমাতাসুলভ আচরণ পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।