বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

১৯ বছর আগে সমাবেশে বোমা হামলার রায়, ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

১৯ বছর আগে সমাবেশে বোমা হামলার রায়, ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৯ বছর আগে রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ১ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৩৮ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হুজির সদস্য মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান ও নূর ইসলাম। এদের মধ্যে প্রথম চার জন কারাগারে রয়েছেন, বাকিরা পলাতক।

আসামিদের প্রত্যেককে এ মামলায় নিহতদের অভিন্ন অভিপ্রায়ে ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/১২০ এর বি/৩৪ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। মামলার পলাতক দুই আসামি মশিউর রহমান ও রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়। এছাড়া, কারাবন্দি আরিফ হাসান সুমন ও পলাতক নুর ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার কারণে ৩০৭/৩২৪/৩২৬/৩৪ ধারায় তাদের লঘুদণ্ড দেয়া হয়নি।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশ চলাকালে বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত ও অনেকে আহত হন। নিহতরা হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার হিমাংশু মণ্ডল, খুলনার রূপসা উপজেলার আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ও খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস।

এ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন।

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলার তদন্ত শুরু হয়। ওই হামলায় মামলা হওয়ার ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ জন আসামি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালত।

মামলার আসামিরা হলেন- হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, হুজির সদস্য মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল আলম ও নূর ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আর শেষের আটজন পলাতক।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech