স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০০৭ সালের ১ লা জানুয়ারী বরিশাল নগরীর কাটপট্টি এলাকার হারুন অর রশিদ ও সাবানা বেগমের ঘরে জম্ম নিয়েছিলো শামীম নামের এক পুত্র সন্তান।
সন্তানটি জম্ম নেয়ার পর থেকেই বাবা-মা’র সাথে ভালো ভাবেই কেটে ছিলো তার। হঠাৎ অর্থের অভাব নেমে আসে তাদের সংসারে। পুত্র সন্তান শামীমকে কাজে দেয় তার পরিবার।
বরিশাল নগরীর কাটপট্টি এলাকার বাছেদ প্রেসে কাজ নেয় সে। কাজ করার সুবাধে শামীমের বয়স চলে আসে ১৩ বছরে। ২০১৫ সালে ২৭ জানুয়ারী বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে জম্ম নিবন্ধন করেন শামীমের পরিবার। ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই নতুন ভাবে ভোটার হন শামীম। ভোটার আইডি কার্ডে সব কিছু ঠিক থাকলেও শুধু নামের পরিবর্তন রয়েছে।
জম্ম নিবন্ধনে তার নাম রয়েছে শামীম হাওলাদার আর ভোটার আইডি কার্ডে তার নাম রয়েছে শুধু শামীম। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে তার ভোটার আইডি কার্ড সঠিক আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
আবার বরিশাল সিটি কর্পােরেশনের জম্ম নিবন্ধনও সঠিক রয়েছে বলে জানিয়েছ। আসলে কোনটা সঠিক এটা নিয়ে রয়েছে গুনজন। সেই ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে চলতি বছরের ১২ জুলাই রোকেয়া নামের ৩৫ বছর বয়সী নারীকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ করেছে শামীমের মা সাবানা বেগম। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের বয়স মাত্র ১৩ বছর সে কি ভাবে ভােটার হল আর কি ভাবে বিয়ে করলো এটাই বুঝা দায়। তিনি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান, বাছেদ প্রেসের মিঠুনের সাথে সম্পর্ক ছিলো রােকেয়ার। এর পরে মিঠুন নিজেকে বাচাতে গিয়ে শামীমের সঙ্গে জরিয়ে দেয় বলে জানান শামীমের পরিবার। রোকেয়ার সাথে মিঠুনের অবৈধ সম্পর্ক ধরা পরে যায় স্থানীয়দের কাছে। স্থানীয়দের ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন মিঠুন।
তবে এসব ঘটনার অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছে মিঠুন এমনটা জানান, শামীমের বাবা হারুন অর রশিদ।