নিজস্ব প্রতিবেদক:
কারাহেফাজতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তার পরিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে আবেদন করেছে, সেই চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদালতের বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার রাখে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে হজ বুথ সেবা-২০২০ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। সেই আবেদন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। তাকে মুক্তি দিতে হলে আইনের আশ্রয় এবং আদালতে যেতে হবে। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে সেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি মতামতের জন্য। তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে আইন মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন আইনের বাইরে তো আইনমন্ত্রী মহোদয় কিছু বলতে পারেন না। আবার আমরাও যেতে পারি না। আমরা যেখানে যা প্রয়োজন তাই করছি। তার আবেদনটি আমরা আইনি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আবারও বলছি– যাই কিছু করতে হয়, এটি বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে হবে; এর বাইরে কিছু হবে না।
প্রসঙ্গত দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ড নিয়ে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বছরের ১ এপ্রিল তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কক্ষে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।
সবশেষ শনিবার খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান তার স্বজনরা। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তার বোন সেলিমা ইসলাম খালেদা জিয়াকে জীবিত অবস্থায় কারাগার থেকে বের করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ভাই শামীম ইস্কান্দার খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।