ইতালি প্রবাসীর মেয়ের সঙ্গে লেখাপড়া করা একই শ্রেণীকক্ষের ১৯ শিক্ষার্থীকে মাদারীপুরের শিবচরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
আইইডিসিআর-এর কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা মঙ্গলবার স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ওই ১৯ শিক্ষার্থীসহ শিবচরেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৭০ জন। জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩০ জন।
এ ছাড়া গেল কয়েকদিনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর জেলায় ১৩৮ জনকে রিলিজ করা হয়েছে।
প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে শিবচর পৌর এলাকার এক প্রবাসী দেশে আসেন। দেশে আসার পর জ্বর-কাশি অনুভব করলে তিনি শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করা হয় তাকে।
আইইডিসিআর-এর পক্ষ থেকে রোববার সকালে শিবচরে এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ওই প্রবাসীর শাশুড়িকেও ঢাকায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে ওই ইতালি প্রবাসীর শিশু কন্যার সহপাঠী একই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আইইডিসিআর-এর কর্মকর্তারা ও চিকিৎসকরা মঙ্গলবার হাসপাতালে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইতালি প্রবাসীর সন্তানের সঙ্গে লেখাপড়া করা ১৯ শিক্ষার্থীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। তারা আমাকে হাসপাতালে ডেকে পাঠিয়েছিল।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যেহেতু ইতালি প্রবাসী শিবচরে বেশি তাই ঝুঁকিও বেশি। হোম কোয়ারেন্টাইন যারা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর জেলায় ১৩০ জনকে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এদের মধ্যে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে নির্দেশ অমান্য করবে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানাও হবে।