রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে অভিযুক্ত করে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর কাছে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে নির্দোষ। আমার মেয়ে তার স্বামীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। তারপরও আমার মেয়েকে পুলিশ আসামি করেছে। এ থেকে বোঝা যায়, এ হত্যা মামলায় আমার মেয়েকে ফাঁসাতে কেউ পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে।
মোজাম্মেল বলেন, মিন্নিকে চার্জশিটে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো স্ত্রীর সামনে যদি তার স্বামী হামলার শিকার হন, তাহলে আসামি হওয়ার ভয়ে আর কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে দেশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে। কিন্তু মিন্নির শ্বশুর মামলার ১৮ দিন পর গত ১৩ জুলাই এই হত্যাকাণ্ডে মিন্নি জড়িত এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করার পর মামলাটির তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় মিন্নিকে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ২ জুলাই এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন।