বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ মার্চ) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার গোহানগাছিয়া গ্রামে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার বিকেলে বরিশাল মেডিকেলে আনা হয়। এরপর তাকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে এবং সেখান থেকে গতরাতেই করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। রোববার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আওর জানান, ওই রোগী দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এক্সরে ও বিভিন্ন পরীক্ষায় নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তবে তার কোনো স্বজন বিদেশ থেকে আসেননি কিংবা তিনিও বাইরে কোথাও যাননি বলে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছে।
ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, ওই রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুসারে মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা তা জানার জন্য তার নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে শনিবার রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৫ বছর বয়সী আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনিও জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাত পৌঁনে ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি বরিশাল নগরীতে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটে এখন পাঁচজন রোগী ভর্তি আছেন। তারা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে নিশ্চিত বলা যাবে না। কারণ করোনা শনাক্তের পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই হাসপাতালে। এদিকে করোনা ইউনিটে সাড়ে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা ইউনিটে দুই রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকেরাও উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।