করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আমতলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলোয়ারের (৭২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী। এ ঘটনায় আমতলী উপজেলা লকডাউন করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে আমতলী সদর ইউনিয়নের লোচা গ্রামের নিজ বাড়িতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন জিএম দেলোয়ার। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ি লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় বুধবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান জিএম দেলোয়ার। এসময় সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই এক দিনের মাথায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুর একদিন পর শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালীতে তার রিপোর্ট আসে। এতে তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।
বরগুনার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জিএম দেলোয়ারই বরগুনায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বরগুনায় প্রথম মারা যাওয়া ব্যক্তিও তিনি।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৮-১০ দিন ধরে তিনি জ্বর নিয়ে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এরপর চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলেও বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ূন শাহিন খান জানান, অসুস্থ থাকা অবস্থায় বুধবার জিএম দেলোয়ার পটুয়াখালী হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। সেখান থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার মহাখালীর আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। আজ সেই রিপোর্ট পটুয়াখালীতে এসেছে এবং সে রিপোর্টে তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়েই জিএম দেলোয়ারের বাড়ি আমরা লকডাউন করে দিয়েছি। এছাড়াও তার জানাজা এবং দাফন স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী করা হয়েছে।