আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
পদ্মা সেতুর চালুর প্রভাব পরেছে নদী পথে। ঈদের তৃতীয় দিন (মঙ্গলবার) আমতলী লঞ্চঘাট দিয়ে তেমন যাত্রী লঞ্চে ঢাকায় যায়নি । পদ্মা সেতু পাড় হয়ে সড়ক পথে ঢাকা যেতে বাস গাড়ীতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীর রয়েছে। বাস কাউন্টার থেকে যাত্রীদের চাহিদামত টিকেট দিতে পারছে না। টিকেটের জন্য হন্য হয়ে ঘুরছে যাত্রীরা।
জানাগেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে নদী পথ আমতলী- ঢাকা রুটে যাত্রীদের যাতাযাত কমে গেছে। ঈদুল আযহার তৃতীয় দিন (মঙ্গলবার) লঞ্চে তেমন মানুষ ঢাকা যাচ্ছে না। এদিকে পদ্মা সেতু পাড় হয়ে বাস গাড়ীতে ঢাকা যেতে মানুষ হুমরি খেয়ে পরছে। বাস গাড়ীতে উপচে পড়া ভীর রয়েছে। বাস কাউন্টার থেকে যাত্রীদের চাহিদামত টিকেট দিতে পারছে না। টিকেটের জন্য হন্য হয়ে ঘুরছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার আমতলী লঞ্চঘাট ঘাট ঘুরে দেখাগেছে, এমভি তরঙ্গ-৭, এমভি সুন্দরবন –-৭ নামের দুইখানা লঞ্চ আমতলী টার্মিনালে নোঙ্গর করে আছে। দুপুর তিনটা পর্যন্ত দুই লঞ্চে মাত্র দুই শতাধিক যাত্রী বিছানা বিছিয়ে বসে আছেন। এমভি তরঙ্গ লঞ্চে ৯৭ টি কেবিনের মাত্র ৩০ টি কেবিন এবং সুন্দরবন-৭ লঞ্চের ৬৭ কেবিনের মাত্র ২৫ টি কেবিন বুকিং হয়েছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান অধিকাংশ কেবিন খালি রেখেই লঞ্চ দুটি টার্মিনাল ছেড়ে দিতে হবে। টামিনালে তেমন যাত্রী নেই। সুনশান নিরবতা। ফাঁকা টার্মিনাল। লঞ্চে যাত্রী নিয়ে কাড়াকাড়ি নেই। যাত্রীরা ইচ্ছামত লঞ্চে উঠছেন। অপর দিকে আমতলী বাস কাউন্টার ঘুরে দেখাগেছে, বাসে উপচে পড়া ভীর। যাত্রীরা টিকেট পাচ্ছে না। টিকেটের জন্য যাত্রীরা হন্য হয়ে ঘুরছেন।
তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা লঞ্চ যাত্রী আব্দুল আউয়াল বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছি। পুরো লঞ্চইতো ফাকা।
বাস যাত্রী জামাল উদ্দিন বলেন, আমতলী বাসে টিকেট পাইনি। তাই লোকাল বাসে বরিশাল যাচ্ছি। ওইখান থেকে ঢাকায় যাব।
আমতলী লঞ্চঘাটে টোল আদায়কারী মোঃ হানিফ গাজী বলেন, যাত্রী অনেক কম। গত ঈদে যাত্রীতে লঞ্চ ভরে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের তিন ঘন্টা আগেই লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (দুপুর ৩ টা পর্যন্ত) দুই শতাধিক যাত্রী টোল দিয়ে লঞ্চে উঠেছে। নির্ধারিত সময়েও তেমন যাত্রী পার না।
এমভি তরঙ্গ-৭ লঞ্চের টিকেট মাষ্টার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, লঞ্চে ৯৭ টি কেবিন আছে। তার মধ্যে ৩০ টি কেবিন বুকিং হয়েছে। তাও যাত্রী আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এমভি সুন্দরবন-৭ লঞ্চের সুপার ভাইজার মোঃ মাইনুল ইসলাম বলেন, যাত্রী অনেক কম। মাত্র ২৫ টি কেবিন বুকিং হয়েছে। ডেকেতো যাত্রীই নেই।
হানিফ পরিবহনের আমতলী বাস কাউন্টার মাষ্টার মোঃ জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন. সড়ক পথে যাত্রীর অভাব নেই। বরাদ্দকৃত টিকেট দুইদিন আগেই বিক্রি করে দিয়েছি। যাত্রীদের কোথা থেকে টিকেট দেব।
যাত্রীদের যন্ত্রনায় ফোন বন্ধ করে রাখতে হয়।