পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় করোনা পরিস্থিতিতে দুস্থ-অসহায়দের খাদ্য সহায়তার ৮ বস্তাভর্তি ২৪০ কেজি ত্রাণের চালসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের জুগির হাওলা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তির নাম আইয়ুব আলী ব্যাপারী (৬০), পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী। সে জুগির হাওলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের জুগির হাওলা গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলীর বাড়িতে রাঙ্গাবালী থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। এসময় তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সম্বলিত ত্রাণের ৩০ কেজি ওজনের ৮ বস্তা (২৪০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে আয়ুব আলীকে আটক করা হয়। এসময় একই এলাকায় বাদশা পাহলানের ঘরে ৫ বস্তা চাল পাওয়া গেলে তাকে না পেয়ে স্হানীয়দের জিম্মায় চাল রেখে দেয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন আইয়ুব আলী বলেন, ‘জুগির হাওলা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ তালকুদার তাকে এ চাল দিয়েছেন।’
রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, ‘আইয়ুব আলীর ঘরের ভেতরের একটি বক্সের মধ্যে থেকে সরকারি বস্তায় ভরা চালগুলো পাওয়া যায়। এসময় আইয়ুবকে আটক করা হয়। ইউপি সদস্যসহ আইয়ুবের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘আটক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে, এটা ত্রাণের জিআর চাল।
মাসুদ মেম্বার তাকে এ চাল দিয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই চাল মেম্বারের কাছে বা ওনার (আইয়ুব) কাছে থাকার কথা নয়। এখন তাদের কাছে গেলো কিভাবে? কার মাধ্যমে গেলো? সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান জিআরের (জেনারেল রিলিফ) চাল গোডাউন থেকে বিতরনের আগ পর্যন্ত চেয়ারম্যানের জিম্মায় ইউনিয়নের পরিষদের গোডাউনে থাকার কথা কিন্তু সেই চাল কিভাবে মেম্বার বা সাধারণ মানুষের বাসায় পাওয়ার কারনে সাধারণত প্রশ্ন জাগে কিভাবে চাল বাহিরে গেল? সদর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য জানান হ্যালো চেয়ারম্যান কর্মসুচীর মাধ্যমে দুএকজন দুস্হদের মাধ্যমে ত্রানের চাল বিতরন করে বেশীভাগ চাল চেয়ারম্যান তার বিশেষ সম্পর্কযুক্ত দুই তিনজন সদস্য মিলে আত্মসাৎ করেছেন।
এব্যাপারে রাঙ্গাবালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুজ্জামান মামুনের ব্যবহৃত সেল ফোন০১৭১২৭০০১১২ নম্বরে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেনি।