তেঁতুল শব্দটি শুনলে জিভে পানি আসবে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এমনকি যারা তেঁতুল একদমই পছন্দ করেন না, তাদের ক্ষেত্রেও এটি সত্যি। আচার তৈরিতে সবচেয়ে পরিচিত ফলগুলোর মধ্যেও একটি এই তেঁতুল। একটু বেশিই টক স্বাদের এই ফলটি কিন্তু আমাদের শরীরের নানা উপকারেও লাগে। তেঁতুলে এমন অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে যা শরীরের একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও তেঁতুল দারুণ ভূমিকা রাখে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। আবার রক্তে চিনির মাত্রাও ঠিক রাখে। এতে উপস্থিত এক ধরণের এনজাইম যার নাম রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। এ কারণে নিয়মিত তেঁতুল খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
তেঁতুলের রস শরীরে এইচসিএ বা হাইড্রোক্সিসিট্রিক এসিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এই এসিড সহজে মেদ ঝরাতে ভূমিকা রাখে। তেঁতুলে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার আছে আবার একই সঙ্গে এটা সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রি। গবেষণায় দেখা গেছে যে রোজ তেঁতুল খেলে ওজন কমে।
পেপটিক আলসার বেশির ভাগ সময় পেটে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে হয়। এই আলসার খুব বেদনাদায়ক। রিসার্চে দেখা গেছে তেঁতুলের বীজের গুঁড়ো নিয়মিত খেলে পেপটিক আলসার সেরে যাচ্ছে।
তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যেকোনো ধরনের ক্ষত সারাতেও তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকর।
তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং পটাশিয়াম থাকে। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
তেঁতুলে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা কিডনি ফেলিওর এবং ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে তেঁতুল খান।
তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় এটি ত্বকের সুরক্ষা করে। এটি ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে-র হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। যাদের ব্রণ আছে তাদের জন্যেও উপকারী তেঁতুল। তেঁতুলে উপস্থিত হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের এক্সফলিয়েশন করতেও সাহায্য করে। যার ফলে মরা কোষ উঠে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।