আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী-তালতলীতে মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপনন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় লোকসানের মুখে পড়বে বলে জানান চাষীরা। দ্রুত তারা সরকারের কাছে ভালো বিপনন ব্যবস্থা ও ডাল সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, আমতলী-তালতলী উপজেলার এ বছর মুগডালের লক্ষমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৫’শ ২০ হেক্টর। এর মধ্যে আমতলী উপজেলায় ৯ হাজার ৩’শ ২০ এবং তালতলী উপজেলায় ৩ হাজার ২’শ হেক্টর। এ লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস। এ বছর মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ডাল তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাজারে ডালের দামও ভালো কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যোগাগোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় চাষীদের ডাল বিপননে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ক্রেতা সংঙ্কটে চাষীরা ডাল বিক্রি করতে পারছে না। ফলে বিপাকে পরেছেন তারা। চাষীরা সরকারের কাছে বিপনন ব্যবস্থা ও ডাল সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন।
তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামের কৃষক মোঃ কনু কাজী বলেন, তিন একর জমিতে মুগ ডাল চাষ করেছি। ফলন ভালোই হয়েছে। সরকারের কাছে দ্রুত ডাল সংরক্ষনের দাবী জানাই।
একই গ্রামের ছত্তার আকন বলেন, ছয় বিঘা জাগায় মুই মুগ ডাইল দিছি। ডাইল ভালোই অইছে কিন্তু ব্যাচতে পারছি না।
আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে মোঃ সোহেল রানা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারতে ডাল নিয়ে বাজারে যেতে পারছি না। ফলে বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ডাল সংরক্ষনের দাবী জানাই।
তালতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপনন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় কৃষকরা ডাল বিক্রি করতে পারছে না। এতে কৃষকের সমস্যা হবে। তিনি আরো বলেন, ডাল সংরক্ষনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকরা উপকৃত হতো এবং তাদের বর্তমান ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠতে পারতো।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, মুগডালের লক্ষমাত্রা অর্জিত এবং ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা সংঙ্কটে চাষীরা ডাল বিক্রি করতে পারছে না।