বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ক্লান্ত শরীরে ঘুমোতে যাবার সময় অসহায় মায়ের ফোন পেয়ে খাদ্য ও অর্থ নিয়ে ছুটে গেলেন – এমপি শাওন

ক্লান্ত শরীরে ঘুমোতে যাবার সময় অসহায় মায়ের ফোন পেয়ে খাদ্য ও অর্থ নিয়ে ছুটে গেলেন – এমপি শাওন

 

এনামুল হক রিংকু লালমোহন প্রতিনিধি :

সারাদিন কর্মহীন ও দু:স্থদের মাঝে ত্রান বিতরণ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমোতে যাবার এমন সময় হটাৎ করে
কর্মহীন হয়ে পড়া এক অসহায় মায়ের ফোন বেঁজে উঠলে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ নিয়ে ছুটে গেলেন ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি ।

লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চাঁন মিয়া মাঝি বাড়ীর বৃদ্ধ সৈয়দ আহাম্মদ মাঝির বিধবা মেয়ে রিনা বেগম চলমান এই করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মুহূর্তে সুতীব্র আকুতি মিনতি ও কান্নাজড়িত কন্ঠে ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়ের মোবাইলে সরাসরি ফোন করলে
( ২৮ এপ্রিল ২০২০)গভীর রাত ১টা৪৫ মিনিটে ছুটে যান রিনা বেগমের বাড়িতে । সাথে নিয়ে যান খাদ্য সামগ্রী – ৫ কেজি চিড়া, ৫ কেজি চিনি, ৫ কেজি মুড়ি, ৫ কেজি ছোলা বুট, ৫ কেজি খেজুর ও রিনার অভুক্ত অবুঝ শিশুর জন্য ২ প্যাকেট দুধ ও নগদ অর্থ ।
গভীর এ রাতে এমপি শাওনের আসার খবর শোনে সাথে সাথে আশ পাশের বাড়ীর অনেক লোকজন ছুটে আসেন।
এসময় গরিবের বন্ধু এমপি শাওন খাবার সামগ্রী ছাড়াও রিনা বেগমের হাতে নগদ পাঁচ হাজার টাকা তুলেদেন।
এছাড়া একই বাড়ীর প্রতিবন্ধী তিন পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা দেন।

এসময় এমপি শাওন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল অনুদান দ্রুত সর্বোচ্চ সততার সাথে এলাকার প্রকৃত অসহায়দের মাঝে প্রদানের নির্দেশ দেন। এসময় এপ্রিল শাওন বলেন সারাদিন কর্মহীন ও দু:স্থদের মাঝে ত্রান বিতরণ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমোতে যাবার উপক্রম। এমন সময় হটাৎ ফোন বেঁজে উঠল। রিসিভ করতেই ওপার থেকে কান্নার আর্তনাদ…..! স্যার, আমরা গরীব মানুষ। নদীপাড়ে খাস জায়গায় থাকি। সরকারী ত্রান যাহা পেয়েছি সবই শেষ হয়ে গেছে। আজ ২-৩ দিন যাবৎ আমরা না খেয়ে আছি। ঘরের বাচ্চাগুলো কান্নাকাটি করতেছে। আমরা এখন কি করব স্যার? কি খেয়ে রোজা রাখব? কথাগুলো কান দিয়ে শ্রবণ করলেও আমার ভেতরটা জ্বলে পূড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। আবার ফোন করলাম সেই নাম্বারে। ফোন দিয়ে ওর সাথে কথা বলে কিছু ত্রাণ নিয়ে ছুটলাম নদীপাড়ের দিকে। কিছুদুর যাবার পর গাড়ী আর চলছে না। সদ্য সমাপ্ত বৃষ্টির শেষে স্যাঁতসেতে মাটির উপর দিয়ে বেড়ীবাঁধের কোল ঘেষে চললাম দূর্গম পথে । ক্লান্ত শরীর মোটেও হাত-পাঁ চলছেনা । তারপরও ভাবলাম আমার এই কষ্টের বিনিময়ে ২-৪টি পরিবার যদি কিছু খেতে পারে, ছোট বাচ্চাগুলোর মুখে হাসি ফুটতে পারে এখানেই আমার স্বার্থকতা। কিছুক্ষণ পরই পৌঁছে গেলাম সেই বাড়ীতে। কতটা অসহায় ও গরীব এরা যেন পদ্মা নদীর মাঝির গল্পকে হার মানিয়েছে এদের বর্তমান দিনগুলি। আমাকে পেয়ে তারা কত যে মহাখুশি ভাষায় সেটা প্রকাশ করতে পারবনা। সবার হাতে খাবারের প্যাকেট ও হাতে কিছু নগদ টাকা গুঁজে দিলাম।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech