বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের শাপলাখালি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনজনকে পিটিয়ে,কুপিয়ে আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী কাদের বাহিনী। গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় স্থানীয় শাপলাখালী নামক স্থানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনসাধারণ ও ভিকটিম পরিবারের সাথে আলোচনা করে জানা যায় যে, ঘটনার আগের দিন শিমুলতলা বাজারে স্থানীয় হোমরা চোমড়া টাইপের নেতা কাদের গাজীর সামনে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কাদের গাজী মোঃ খাইরুল ইসলাম হাং (২০) ও ইলিয়াস হাং (২০) কে গালিগালাজ করে।
দুই যুবক এর প্রতিবাদ করলে কাদের গাজী তাদের মারধর করার চেষ্টা করে কিন্তু স্থানীয় উপস্থিত লোকজনের কারনে তা সম্ভব হয়নি পরে রাতে তারাবি নামাজ পড়তে স্থানীয় মসজিদে গেলে কাদেরের ছেলে আবদুর রহমান ও জহিরুলসহ কয়েকজন ইলিয়াসকে মারধর করে। ঘটনা সুত্রে জানাযায় ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে কাদের গাজীকে খাইরুল ও ইলিয়াসের পরিবার সমর্থন না করায় তাদের মধ্যে পুর্বশত্রুতার জন্য মারধরের ঘটনা ঘটে ও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
পরবর্তী দিন বৃহস্পতিবার ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১ টায় খাইরুল ইসলাম শিমুলতলা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা,লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেন কাদের বাহিনী এবং খাইরুল কে দেখামাত্রই ধাওয়া করলে খাইরুল তার জীবন বাঁচাতে দৌড়ে নিজেদের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাড়িতে অবস্থান নেন কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনী দরজা ভেঙ্গে এলোপাতারি কুপিয়ে,পিটিয়ে খাইরুল (২০) তার মা রোকেয়া বেগম (৬৮) বোন ৮ মাসের অন্তসত্তা ময়না বেগম (১৯) কে কুপিয়ে,পিটিয়ে আহত করে, ঘরের মালামাল ভাংচুর ও স্বর্নাংলকার লুট করে চলে যায় ।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহতদের অবস্হার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত খাইরুল কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আহত খাইরুলের মা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অাছেন এবং বোন ময়না বেগম লুথরান হেলথ কেয়ার থেকে রেফার পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সরকারি মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিবিড় পর্যবেক্ষনে অাছেন।
স্থানীয় নলুয়া ১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোঃ সেকান্দার গাজী জানান ভিকটিমদের প্রতি অন্যায় ও মধ্যযুগীয় নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন তাকে নির্বাচনে সমর্থন করাতেই খাইরুলের পরিবারের উপর হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে।ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন এবং বাকেরগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান অভিযোগ পেয়েছি পুলিশ শীঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাবে।