গত ২৮ এপ্রিল ও ০৭ মে ২০২০ তারিখে ” বরিশাল অবজারভার দৈনিক শাহনামা, বাংলার বানী 24.com ” সহ কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত “ত্রাণ না পেয়ে জেলেদের বিক্ষোভ” শিরোনামে একটি সংবাদ পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম এর নজরে আসে।
প্রকাশিত সংবাদে ত্রাণ না পাওয়ায় পটুয়াখালী জেলাধীন আগুনমুখা ও তেঁতুলিয়া নদী পার হয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী (সদর থেকে প্রায় ৭০কিমি দূর) থেকে শতাধিক জেলে পটুয়াখালী শহরে এসে মানব বন্ধন করেন। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে পুলিশ সুপার মহোদয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার স্বার্থে উক্ত জেলেদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং জেলা পুলিশের নিজস্ব আয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আজ জেলেদের পুলিশের সহায়তায় ট্রলার যোগে রাঙ্গাবালী থেকে গলাচিপা থানাধীন গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে (সদর থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে) আনা হয়। অতঃপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুলিশ সুপার মহোদয় তাদের মাঝে মানবিক সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেন। এ মানবিক সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল ও দুই প্রকার সাবান। এ দুঃসময়ে পুলিশ সুপার মহোদয়ের হাত থেকে এ মানবিক সহায়তা সামগ্রী পেয়ে তারা অনাবিল আনন্দ প্রকাশ করেন। জেলে আবু জাফর গাজী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। এখন অন্তত কয়েকদিন দুমুঠো খেতে পারবেন।
জেলেদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উপস্থিত সকল জেলে বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।তবে রাঙ্গাবালি উপজেলা সরকারি তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮ শত ১৫ জন কিন্তু সরকারি সহায়তা পায় ৮ হাজার ৫ শত ৯ জন বাকি ৫ হাজারেরও বেশী জেলের বিগত ৫ বছর যাবত সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত।
এসব জেলেরা দীর্ঘদিন যাবত সাহায্যের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করে আসছে। স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারনে প্রকৃত জেলেরা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।