বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মাটি ইটভাটায়, হুমকিতে ২০ হাজার মানুষ

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মাটি ইটভাটায়, হুমকিতে ২০ হাজার মানুষ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী এলাকার প্রভাবশালী বারেক হাওলাদার ও খলিলুর রহমান হাওলাদার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করায় হুমকিতে পরেছে আমতলী সদর ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ জলোচ্ছাস হলে এই বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা তলিয়ে যাবে। দ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবী করছেন তারা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া নদী সংলগ্ন ৪৩/১ পোল্ডারে ১৯৬৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধের কারনে জলোচ্ছাসের হাত থেকে আমতলী সদর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিরাপদে জীবন যাপন করছে। গত ১০ দিন ধরে সেকান্দারখালী গ্রামের প্রভাবশালী বারেক হাওলাদার ও খলিলুর রহমান হাওলাদার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের নদীর বিপরীত পাশ ও খাস জমির মাটি কেটে হাসান মৃধাসহ বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাশের মাটি কাটায় হুমকিতে পরেছে আমতলী সদর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। খবর পেয়ে সোমবার ইউএনও মনিরা পারভীন লোক পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, সেকান্দারখালী এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের নদীর বিপরীত পাশ ও খাস জমির মাটি অবৈধ ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে বিশাল গর্ত করে রেখেছেন। ট্রলিতে করে মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে।যেকোন সময় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ধসে বাঁধ দেবে যেতে পারে।
সেকান্দারখালী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নারী বলেন, “মোরা কি হরমু, বারেক হাওলাদার ও খলিলুর রহমান হাওলাদার বান্দের মাটি কাইট্টা লইয়্যা যাইতে আছে। হ্যাগো তো কেউ কিছু হরতে পারে না।
সেকান্দারখালী এলাকার হেমায়েত হোসেন বলেন, বারেক হাওলাদার ও খলিলুর রহমান হাওলাদার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাশের মাটি ইট ভাটার বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন বন্যা হলে এই বাধ ভেঙ্গে এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বারেক হাওলাদার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, যতটুকু কেটেছি ততটুকু বেঁধে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ইটভাটার মালিক হাসান মৃধা সরকারী জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
আমতলী সদর ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী মোঃ কামরুল হাসান বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, কোন মতেই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কাটা যাবে না। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech