বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বাউফলে ইউনুস ও বাচ্চু বাহিনীর তাণ্ডব॥ আহত ৬॥ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

বাউফলে ইউনুস ও বাচ্চু বাহিনীর তাণ্ডব॥ আহত ৬॥ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

ডেস্ক রিপোর্ট:
গতকাল সোমবার (১১ মে ২০২০) পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনুস ও বাচ্চু বাহিনী তাণ্ডব চালিয়ে ৬ জনকে গুরুতর আহত করেছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিনারার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বজনরা জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ নং আতাবাড়িয়া ইউনিয়নের ০৭ নং আতশখালী গ্রামে।

এলাকাবাসী এবং আহতদের স্বজনের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভূমি খেকো, সন্ত্রাসী ইউনুস হাওলাদার ও আইয়ুব হাওলাদার গংরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী ১৪ নং নওমালা ইউনিয়নের বাচ্চু ও সোহরাব-এর ২৫/৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রামদা, লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৬ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহতরা হলো- মিনারা বেগম, তাছলিমা বেগম, মিনারার স্বামী ইউনুস, ছেলে হৃদয়, আয়শা ও শাওন প্রমুখ।
এদিকে, এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে দুটো ব্যাটারি চালিত অটোতে পটুয়াখালী নেওয়ার পথে ড্রাইভারদের মারধর করে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী।

ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসিদের সাথে ইউনুসের স্ত্রী এবং মেয়েও সম্মুখ সাড়িতে থেকে সমানতালে আহতদের উপর দা, লাঠি দিয়ে দিয়ে মারধর করেছে।

সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মঙ্গল চৌকিদার মারা যাওয়ায় এবং তার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তার দু মেয়ে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি জবরদখল করে আসছিল একই বাড়ির ভূমি খেকো ইউনুস হাওলাদার ও আইয়ুব হাওলাদার গংরা। তাদের পিতার নাম ইউসুফ হাওলাদার।

আরো জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মেম্বর প্রার্থী হিসেবে ওই ওয়ার্ডে নির্বাচন করে চরম ভরাডুবি হয় ইউনুসের। এ থেকেও ক্ষিপ্ত তিনি। মঙ্গল চৌকিদারের মেয়ে এবং সন্তানদের উপর ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলেন। এবং বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কিছু মিলিয়েই এ হামলা চালিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

জানা গেছে, ইউনুস হাওলাদারের শ্বশুর বাড়ি পার্শ্ববর্তী ১৪ নং নওমালা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামে। আর এ ঘটনার কলকাঠি নাড়ছেন ওই ভাংরা গ্রামের মেছের সিকদারের ছেলে বাচ্চু সিকদার ও সোহরাব সিকদার। ওই হামলার নেতৃত্বে ছিল বাচ্চু সিকদারের ছেলে আলমাস সিকদার। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসি, ইভটিজিং, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। পরে এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে সন্ত্রাসিরা খাল সাতরিয়ে পালিয়ে যায় বলেও একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, গুরুতর আহতদের হাসপাপাতালে ভর্তি এবং মিনারার অবস্থা আশঙ্কাজনক জেনে ভূমি খেকো ইউনুস ও আউয়ুব গংরা রান্না করা ভাত ঘরে বিছিয়ে এবং তাদের ঘর এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে বলেও এলাকাবাসী জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর বাউফল থানার এসআই মাধব তার স্বঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত বিধবা আয়েশা তার ৫ সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এবং প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech