নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভাইরাসটি হানা দেয়ার পর দেশে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬৯-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৬২ জন। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৮২২ জনে।
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি ৪১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও সাত হাজার ৮৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় সাত হাজার ৯০০টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৮টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ১৬২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৯ জন, এটিও সর্বোচ্চ রেকর্ড। মৃত ১৯ জনের ১২ জন পুরুষ ও সাত জন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৯-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৪ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ৩৬১ জন।
গত মঙ্গলবার (১২ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছয় হাজার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৯৬৯ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় তো মৃত্যু ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তো বেড়েছেই, দুই দিক থেকেই নতুন রেকর্ড হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বুধবারের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ১৫ জনের। সেটা ১৭ এপ্রিলের বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল এক হাজার ৩৪ জনের। ওই তথ্য জানানো হয় গত ১১ মের বুলেটিনে।
বুধবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ১৫০ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন তিন হাজার ৪৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৬ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩৩২ জন।